বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: তিনি বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসার অর্থ হবে ওয়াশিংটনের অযৌক্তিক চাপ প্রয়োগের কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং আলোচনায় বসলে ওয়াশিংটন তার দাবিদাওয়া ইরানের ওপর চাপিয়ে দেবে; এছাড়া, আমেরিকা বিশ্বকে দেখাবে তেহরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতিতে কাজ হয়েছে।" ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলোচনার ব্যাপারে মার্কিন কর্মকর্তাদের পরস্পর বিরোধী বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, "তারা কখনো পূর্বশর্ত ছাড়াই আলোচনার কথা বলছে আবার কখনো ১২ দফা প্রস্তাবের কথা বলছে। এ ধরণের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় তারা হয় হতাশা ও অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে অথবা অথবা প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। অবশ্য আমেরিকা ইরানকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না কারণ আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট এবং আমরা জানি আমাদের কি করতে হবে।"
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, ইরানের ব্যাপারে আমেরিকার সকল পরিকল্পনা ও চিন্তাভাবনা গত ৪০ বছরের মতোই ভ্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র করে তাদের কোনো লাভ হবে না। ইরানের বিচক্ষণ কর্মকর্তারা মনে করেন আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। ইরান নয় বরং আমেরিকাই নিজের প্রয়োজনে ইরানের সঙ্গে সংলাপে বসতে চায়। কেননা বিশ্বে আমেরিকার শক্তি, প্রভাব ও ক্ষমতা ক্রমেই স্তিমিত হয়ে আসছে। অন্যদিকে আমেরিকার মোকাবেলায় ইরান ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে এবং ওয়াশিংটনের সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তেহরান। সকল ক্ষেত্রে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধই ইরানি জনগণের প্রধান লক্ষ্য।
এ কারণেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, "আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় কোনো আলোচনাই হবে না।" তিনি আরো বলেছেন, "আমেরিকা অনুশোচনা প্রকাশ করে পরমাণু সমঝোতায় যদি ফিরে আসে তাহলে ওই সমঝোতার গঠনকাঠামোর আওতায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে বহুপক্ষীয় আলোচনায় বসবে তেহরান। এর অন্যথায় কোনো পর্যায়ে আমেরিকার সঙ্গে ইরানের আলোচনা হবে না।" সর্বোচ্চ নেতা বলেন, জনগণের হাতেই সব সমস্যার সমাধান রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি গত ৪০ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, সমস্যা সমাধানে বাইরের কারো ওপর নির্ভর করা উচিত নয়।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরান আলোচনাকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক যে কোনো সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় বলে মনে করে। কিন্তু আমেরিকা যেভাবে অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ চালিয়ে নিজের ইচ্ছাকে অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে চায় সেই ধরণের আলোচনা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এ কারণে কিছুদিন আগে সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, আমেরিকার বর্তমান সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসা বিষ পানের সমান। iqna