IQNA

প্রথম পর্ব;

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের অর্থনৈতিক মন্দা ও অচলাবস্থা (রুকূদ )

1:40 - February 21, 2024
সংবাদ: 3475135
ইকনা: জার্মানি, জাপান ও ব্রিটেন অর্থনৈতিক রুকূদ ও মন্দার মধ্যে ঢুকে যাওয়া মানে অর্থনৈতিক মন্দায় পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের প্রবেশ । আর বিশ্বব্যাপী সংকট,গোলযোগ, সংঘাত, সংঘর্ষ ও যুদ্ধ - বিগ্রহ  ঘটিয়ে এবং আগ্রাসন চালিয়ে দেশ ও জাতি সমূহের সম্পদ  লুণ্ঠন করে পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য এই অতিমন্দা থেকে মুক্ত হতে পারবে না ।

জার্মানি, জাপান ও ব্রিটেন অর্থনৈতিক রুকূদ ও মন্দার মধ্যে ঢুকে যাওয়া মানে অর্থনৈতিক মন্দায় পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের প্রবেশ । আর বিশ্বব্যাপী সংকট,গোলযোগ, সংঘাত, সংঘর্ষ ও যুদ্ধ - বিগ্রহ  ঘটিয়ে এবং আগ্রাসন চালিয়ে দেশ ও জাতি সমূহের সম্পদ  লুণ্ঠন করে পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য এই অতিমন্দা থেকে মুক্ত হতে পারবে না । অতএব দিনের পর দিন এ সব গোলমেলে পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে দুর্বল দেশ ও জাতি সমূহ গোলযোগ, সংকট ও আগ্রাসনের শিকার হবে মাযুরার ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) নেতৃত্বে পাশ্চাত্যের পক্ষ হতে। মাযুরার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) অর্থনৈতিক অবস্থাও ৩৪ ট্রিলিয়ন ঋণ নিয়ে ভালো না । মাযুরার ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এত বিরাট বড় ঋণের বোঝা আসলে পাশ্চাত্যের ডুবন্ত অর্থনীতির প্রতি ইঙ্গিতবহ । নিও লিবারেল গণতন্ত্র, অর্থনীতি , সমাজব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা ও প্রশাসন ইত্যাদি সব কিছুই নাকাম ও ব্যর্থ হয়েছে বলেই এই অর্থনৈতিক মন্দা ও সংকট তৈরী হয়েছে । প্রাচ্যও যেহেতু পাশ্চাত্যের সাথে একই সূত্রে গাঁথা ও বাঁধা সেহেতু সেখানেও অর্থনৈতিক মন্দা হানা দিয়েছে।
   নিওলিবারেলিযম আসলে সবল ধনী পূ্জিপতি শ্রেণীর লুটপাটের অবাধ স্বাধীনতা , ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়া আর কিছুই নয় । পশ্চিমাদের এ বস্তাপচা পুঁতি দুর্গন্ধযুক্ত এ মতবাদের ( নিওলিবারেলিযম) প্রেক্ষিতে শক্তিশালী দেশ দুর্বল দেশের ওপর শোষণ ও লুন্ঠন চালায় ঠিক তেমনি যেমনভাবে সমাজের শক্তিশালী সবল ধনী শ্রেণী সমাজের দুর্বল দরিদ্র শ্রেণীর ওপর করে । লিবারেলিযমের সাথে গণতন্ত্রের কী সম্পর্ক? আসলে লিবারেলিযম গণতন্ত্রের শত্রু ও পরিপন্থী। বরং লিবারেলিযমের সাথে ধনতন্ত্র খাপ খায় এবং ধনতন্ত্রের সাথে গণতন্ত্র একদম বেমানান। রাজনীতিতে একনায়কতন্ত্র যেমন গণতন্ত্রের পরিপন্থী ঠিক তেমনি ধনতন্ত্র হচ্ছে অর্থনীতিতে একনায়কতন্ত্র ( economic dictatorship ) । এ জন্য পাশ্চাত্যে লিবারেলিযম ও ধনতন্ত্রের বিকাশের মাধ্যমে সমাজ ও দেশের সম্পদের সিংহভাগ অতি অল্প মুষ্টিমেয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর হাতে চলে গেছে এবং সেখানে সম্পদের ন্যায্য ও সুবন্টন নেই। আর ঠিক একই অবস্থা ধনী দরিদ্র দেশসমূহের মাঝেও বিরাজমান । আর এর ফলে অন্যায় , উৎপীড়ন , বৈষম্য, শোষণ ও ব্যবধান দিন কে দিন বাড়ছেই, কমার কোন লক্ষণ নেই। তাই পাশ্চাত্য প্রবর্তিত লিবারেলিযম , ধনতন্ত্র ও গণতন্ত্রের অ্যামালগাম নিছক ফাঁকা বুলি ও মাকাল ফল ছাড়া আর কিছু নয়! পাশ্চাত্যে ধনতন্ত্রের সেবায় নিয়োজিত আছে সেখানকার গণতন্ত্র ও রাজনীতি। বরং ধনতন্ত্রের সেবাদাস হচ্ছে তথাকথিত গণতন্ত্র ও রাজনীতি। পাশ্চাত্যে সকল রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা পুঁজিপতিদের কাছে ঋণী ও দায়বদ্ধ । কারণ পশ্চিমা রাজনৈতিক নেতারা পুঁজিপতিদের ডোনেশনের টাকা দিয়ে নির্বাচিত হয় । কারণ পাশ্চাত্যে নির্বাচন খুবই ব্যয়বহুল এবং নির্বাচনী প্রচার প্রোপ্যাগ্যান্ডা চালানোর  আর্থিক সামর্থ্য ও সংগতি রাজনৈতিক নেতাদের নেই। আর এই সুযোগে পুঁজিপতিরা অর্থনৈতিক বিনিয়োগের মতো রাজনীতি ও নির্বাচনে অর্থ বিনিয়োগ করে রাজনৈতিক নেতাদেরকে নির্বাচনে জেতায় যারা সংসদ ও সরকারে এসে জনগণের স্বার্থের চেয়ে ঐ বিনিয়োগকারী পুঁজিপতিদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে সবচেয়ে বেশি। বাহ্যত এ সব রাজনৈতিক নেতারা গণ প্রতিনিধি কিন্তু বাস্তবে তারা পুঁজিপতিদের মনোনীত ও বাছাইকৃত প্রতিনিধি। আর রাজনীতিতে পুঁজিপতিদের টাকা বা পুঁজি বিনিয়োগ আসলে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে ঘুষ ও উৎকোচ দেয়ার নামান্তর। অতএব দেখা যাচ্ছে যে লিবারেলিযম ধনতন্ত্র ও পুঁজিবাদের উন্মেষ ঘটায় । তাই কিভাবে পাশ্চাত্যে গণতন্ত্র বিদ্যমান ? এটা তো গণতন্ত্র নয় বরং গণতন্ত্রের আদলে অলিগার্শি ( ধনতান্ত্রিক পুঁজিবাদী অভিজাত তন্ত্র )।
* * * --------
      ব্রিটেন ও জাপান এখন অতি অর্থনৈতিক মন্দায় আক্রান্ত হয়েছে। ফরচুন.কম
   আর এ দুই জাইন্ট ( দানব ) অর্থনীতির অতিমন্দায় আক্রান্ত হওয়া থেকে " রিজার্ভের ডলার এক সময় মূল্যহীন কাগজ হয়ে যাবে । " - ড: মোমেনের উক্তির সঠিকতা ও যৌক্তিকতার আভাস পাওয়া যায় । কিন্তু ফরচুন.কম হয়তো এ সংবাদ প্রতিবেদন চাপের মুখে ওয়েব সাইট থেকে সরিয়ে নিয়েছে !
    ইউক্রেন - রাশিয়া যুদ্ধ , গাযা - ইসরাইল - হিযবুল্লাহ যুদ্ধ এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইয়ামানীদের বাবুল মান্দাব - লোহিত সাগর অবরোধ জাপান ও ব্রিটেনকে অতিমন্দায় প্রবেশ করতে ত্বরান্বিত করেছে। কারণ পূর্ব - পশ্চিম বাণিজ্য বাবুল মান্দাব -লোহিত সাগর - সুয়েজ ক্যানাল রুটে সম্পন্ন হয় এখন বাবুল মান্দাবে  ইসরাইলের ওপর ইয়ামানীদের আরোপিত এ অবরোধের কারণে ৪০ ফুট কন্টেইনারের পরিবহন খরচ ১২০০ ডলার থেকে ৫০০০ ডলার হয়ে গেছে!! তাই এমতাবস্থায় জাপান - ব্রিটেন মানে পূর্ব - পশ্চিম ( প্রাচ্য - পাশ্চাত্য) বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়বে। আর মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরা ( যুক্তরাজ্য: ব্রিটেন) যৌথভাবে ইয়ামান হামলা করলে পাল্টা ইয়ামানীরাও ও দুই দেশের জাহাজ সমূহেরওপর হামলা করছে ফলে এ সংকট আরও তীব্রতর হয়েছে। তাই যুরা ( যুক্ত রাজ্য) ও জাপানের অর্থনীতি ২০২৪ সালে মন্দা থেকে অতিমন্দার মধ্যে প্রবেশ করেছে। আর বাবুল মান্দাব - লোহিত সাগর - সুয়েজ ক্যানাল পরিহার করলে দূর প্রাচ্য ( জাপান ইত্যাদি) থেকে ইউরোপ - যুরা ( ব্রিটেন ) গামী সামুদ্রিক জাহাজ গুলোকে পুরো আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরতে হবে এবং এতে করে আরও প্রায় ৪৫ দিন বেশি সময় লাগবে যা অর্থনীতি ও বাণিজ্যের জন্য মোটেও সুবিধা ও লাভজনক নয়। মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরা ( যুক্তরাজ্য) গত দুমাস ধরে ইয়ামান হামলা করে ইসরাইলের ওপর ইয়ামানীদের আরোপিত এ অবরোধে ঘৃতাহুতি দিয়ে তা আন্তর্জাতিক সংকটে রূপান্তরিত করে ফেলে নিজেরাই অতিমন্দায় ঢুকে পড়েছে এবং অন্যদেরকে যেমন : জাপান - টাপানকেও অতিমন্দার খোয়ারে ঢুকাতে বাধ্য করছে! ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধ ও গাযায় আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধ করলে ইয়ামানও ইসরাইলের ওপর থেকে এ অবরোধ তুলে নিত । সেটা না করে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরা (যুক্তরাজ্য) উল্টো ইয়ামানের ওপর হামলা চালিয়ে এ সংকটকে আরো ঘনীভূত ও তীব্রতর করে ফেলেছে ।
    অতএব এই মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরা (যুক্তরাজ্য) থেকে কুফল ও অমঙ্গল ছাড়া আর কিছু প্রত্যাশা করা আহমকি নয় কি ?!!
   রাশিয়া কর্তৃক ড্রোন ক্রয়ের কারণে ইরানের বিকাশমান অস্ত্র শিল্প দ্রুত উন্নতি লাভ করছে এবং (এ কারণে ) তেহরান মধ্যপ্রাচ্যের মিলিশিয়াদের সমর্থন ( ও পৃষ্ঠপোষকতা দান ) করতে পারছে । ইরানের অস্ত্র শিল্প দ্রুত বর্ধনশীল যা দেশটিকে স্বল্প মূল্যের হাইটেক ( উচ্চ প্রযুক্তির) অস্ত্রের এক বিশাল রফতানি কারক দেশে রূপান্তরিত করছে । উল্লেখ্য যে ইরানী অস্ত্রের খরিদাররা ( ক্রেতারা ) মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) ও তার মিত্রদেরকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউক্রেন এবং অন্যান্য স্থানে বিরক্ত, ক্ষুব্ধ, চিন্তিত , উদ্বিগ্ন, পেরেশান ও হয়রান করে দিচ্ছে।
     ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের রণক্ষেত্র সমূহ তেহরানকে বৈশ্বিক অস্ত্র সরবরাহকারী ও যোগানদাতা হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার কারণ হয়েছে। ইউক্রেনে সামরিক লক্ষ্যবস্তু সমূহ এবং বেসামরিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে রাশিয়া বিশাল বড়  প্রভাব ( সাফল্য ) সহকারে ইরানী ড্রোন ব্যবহার করছে । ইত্যবসরে মধ্যপ্রাচ্যের মিলিশিয়ারাও মার্কিন সামরিক বাহিনী , ইসরাইল এবং বৈশ্বিক জাহাজ চলাচল সংক্রান্ত স্বার্থসমূহকে টার্গেট করতে সরবরাহকৃত ইরানী ড্রোন ব্যবহার করছে।
   " এ সব প্রযুক্তি রফতানি করে এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে সেগুলোর কার্যকারিতা প্রমাণিত হওয়ার মাধ্যমে , ইরান সম্ভবত অপ্রতিসম  যুদ্ধের ( , asymmetric warfare) গতিপ্রকৃতি ও স্বরূপকে চিরতরে পরিবর্তন করে ও পাল্টে দিয়েছে । আর ইরান পূর্বেকার সুবিধা বঞ্চিত বিভিন্ন বেসরকারি গোষ্ঠী , সংঘ , সংস্থা , আন্দোলন ও প্রতিষ্ঠানকে ( nonstate actors ) সম্ভাব্য পন্থায় যথেষ্ট ও পর্যাপ্ত উদ্দেশ্যসাধনকারী সাহায্য , সহায়তা ও সুবিধা প্রদান করছে। " অ্যাডাম রাসেল ( যিনি বেসরকারি গোষ্ঠী , সংঘ ,সংস্থা , আন্দোলন , দল ও প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক ব্যবহৃত অস্ত্রের পরীক্ষক মিলিট্যান্ট ওয়ারের একজন গবেষক তিনি ) এ কথা বলেন । " আর ( এর ) প্রভাব , পরিণতি ও ফলাফল সমূহ ....... বিশ্বের প্রধান ও বৃহৎ শক্তিসমূহের জন্য বিপর্যয়কর হতে পারে। "
   ইরান ২০২২ এর মার্চ থেকে ২০২৩ এর মার্চ পর্যন্ত প্রায় এক বিলিয়ন ( একশো কোটি) ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে যা পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে তিনগুণ । - এ কথা ইরানের উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাহদী ফারাহী নভেম্বরে বলেছেন। চোরাই পথে অস্ত্র বিক্রিকে উপেক্ষা করলেও ইরান ২০২২ সালে ১২৩ মিলিয়ন ডলার অস্ত্র রফতানি করে বিশ্বের ষড়দশ ( ১৬ তম ) বৃহৎ অস্ত্র রফতানিকারী দেশে পরিণত হয়েছিল। আর ২০১৭ সালে মাত্র ২০ মিলিয়ন ডলার অস্ত্র রপ্তানি করে ইরান সে সময় বিশ্বের ৩৭ তম বৃহৎ অস্ত্র রফতানিকারী দেশের স্থান দখল করেছিল ( স্টকহোম ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী ) ।
   মাযুরাই( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) পৃথিবীর সবচেয়ে শীর্ষস্থানীয় অর্থাৎ বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী ও যোগানদাতা। বৈদেশিক সামরিক বিক্রয় ব্যবস্থার অধীনে মার্কিন অস্ত্র রফতানি ২০২৩ অর্থ বছরে ৮০•৯ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড করেছে। ইরানের অস্ত্র বিক্রির আওতায় রয়েছে বিভিন্ন অস্ত্র । মার্কিন কর্মকর্তাদের মতানুসারে  রাশিয়া যেমন পরিকল্পনা করছে ঠিক তেমনি তেহরানেরও পরিকল্পনা আছে। ( WSJ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী )

ইরান সমর্থিত দল ও গোষ্ঠী সমূহ সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে একটি সেতুবন্ধন রচনা করেছে এবং তারা সবাই একটি জোটের ( অ্যালায়েন্স ) মধ্যে পরস্পর জড়িত ও যুক্ত রয়েছে যা তেহরান প্রতিরোধ অক্ষ (Axis of resistance ) বলে থাকে। এই জোটের মধ্যে রয়েছে গাযার হামাস , লেবাননের হিজবুল্লাহর এবং ইয়ামানের হুথিরা।
   গাযা সীমান্তে ইসরাইলের নিরাপত্তা বেড়া উড়িয়ে দিতে যে সব বিস্ফোরক সামগ্রী ও প্রকৌশলী জ্ঞান এবং তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে সে গুলো এবং যুদ্ধে হামাস যে সব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে সেগুলো এমন এক সামরিক বুদ্ধমত্তাকে প্রতিফলিত করে যা ইরানের মত রাষ্ট্র অভিনেতার ( State Actor ) পক্ষ থেকে সরবরাহকৃত হতে পারে।
  ইরানের অস্ত্র রফতানির উন্মেষ ও বিকাশ এমন এক দেশের রাজস্বের উৎস্য হয়েছে যা নিজের তেল সম্পদ বিক্রি এবং বেশির ভাগ ব্যাংকিং লেনদেন পরিচালনা করার সামর্থ্য নিজেই ব্যাহত করছে !!
    " আইআরজিসি ( ইরানের ইসলামী বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী ) সামরিক বিক্রয় লব্ধ নগদ অর্থের জন্য খুবই আগ্রহী ও অত্যন্ত লালায়িত। " - বললেন সাঈদ গোলকার যিনি চাট্টানুগাস্থ টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইরানের নিরাপত্তা সার্ভিস সমূহ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ ( অথরিটি)। 
(( সূত্র: ওয়াল স্ট্রইট জার্নাল ( মাযুরা অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) এবং অন্যান্য পশ্চিমা সংবাদ পত্র ও মাধ্যম ))
********************-----------------
উপরিউক্ত সংবাদ প্রতিবেদন সংক্রান্ত কিছু আলোচনা : 
এটা হচ্ছে ইরানের দ্রুত উন্নয়ন ও বর্ধনশীল সামরিক শিল্প এবং বৈশ্বিক অস্ত্র রফতানি কারক দেশ হিসেবে দেশটির আত্মপ্রকাশ ও অভ্যুদয় সংক্রান্ত  ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং আরও কিছু পশ্চিমা সংবাদপত্র ও মাধ্যমের প্রতিবেদন । লক্ষ্যণীয় যে পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও তার মিত্ররা বৈশ্বিক অস্ত্র সরবরাহকারী ও যোগানদাতা হিসেবে ইরানের অভ্যুদয়ে বিরক্ত , ক্ষুব্ধ , উদ্বিগ্ন ও ভীত সন্ত্রস্ত। কারণ এতে করে যেমন বিশ্বে ইরানের সামরিক , রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক , সাংস্কৃতিক ও আদর্শিক প্রভাব - প্রতিপত্তি বাড়বে ঠিক তেমনি পশ্চিমাদের বিশেষ করে মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) ও তার চেলাচামুণ্ডাদের অস্ত্র ব্যবসায় ও বাজার এবং তা থেকে থেকে লব্ধ আয় সংকুচিত হয়ে যাবে । কারণ ইরান ২০১৭ সালে মাত্র ২০ মিলিয়ন ডলার অস্ত্র রফতানি করে ৩৩ তম বৃহৎ অস্ত্র রফতানি কারক দেশের স্থান থেকে মাত্র ৫ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২২ সালে ১২৩ মিলিয়ন ডলার অস্ত্র রফতানি করে ১৬ তম ( ষোড়শ) বৃহৎ অস্ত্র রফতানি কারক দেশে পরিণত হয়েছে । আর ইরান মার্চ ২০২২ থেকে মার্চ ২০২৩ -এ প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার অস্ত্র রফতানি করেছে ; আর ২০২৩ সালের মার্চ  থেকে এ বছরের ( ২০২৪ ) মার্চ পর্যন্ত বৈশ্বিক অস্ত্র রফতানি কারক ও যোগানদাতাদের তালিকায় ২০২২ সালের ১৬ তম স্থান থেকে বর্তমানে ইরানের র্্যাংকিং যে কত হয়েছে  তা উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা না হলেও কিন্তু  সহজেই তা অনুমেয় । 
প্রথম পর্ব সমাপ্ত 
চলবে
সংগ্রহ , অনুবাদ ও বিশ্লেষণ : ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

৩০-১১- ১৪০২

ট্যাগ্সসমূহ: আমেরিকা ، যুক্তি ، হামলা ، মুনীর
captcha