তিনি বলেন, "আমরা নিশ্চিত না হয়ে মৃতের সংখ্যা বলছি না। এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে ১১ জন। এর বাইরে অন্য কেউ যদি অন্য কিছু বলে থাকে সেটা আমরা এখনো ভেরিফাই করতে পারি নাই।" রোহিঙ্গা শিবিরে ৯ হাজারের কিছু বেশি ঘর পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আগুনের ঘটনায় নিখোঁজ থাকা সম্পর্কে মি. আহমেদ বলেন, এলাকাটি অনেক বড়। অনেক মানুষ স্বজনদের কাছ থেকে ছিটকে পড়েছেন। সেখানে নিখোঁজ অনেকে ছিল তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।
"কেউ হয়তো তার ভাইকে পাচ্ছে না, সকাল বেলা পায় নাই, ১১টার দিকে হয়তো খুঁজে পেয়েছে। নিখোঁজদের বিষয়টা ওইভাবে বলা যাচ্ছে না।"
ঘর হারা রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে ওই শিবিরেই তাঁবুতে কিংবা অস্থায়ী শেল্টার তৈরি করে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, তারা এখনো পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে ১৫ জন শরণার্থীর মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর জানায়, আগুন লাগার পর এখনো চার শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে তারা। বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ক গ্রুপ ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেটর গ্রুপ-আইএসসিজি বলছে, আগুনে ১০ হাজারের মতো বাড়ি-ঘর পুড়ে গেছে। ঘরহারা হয়েছে ৪৫ হাজারের মতো মানুষ। তবে এই সংখ্যা আগুন লাগার পর ক্ষয়ক্ষতির প্রথম ২৪ ঘণ্টার একটি চিত্র বলে জানায় গ্রুপটি।
ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট পরিমাণ জানতে এখনো কাজ চলছে বলে জানানো হয়। ভবিষ্যতে এই পরিমাণ বাড়তে পারে বলেও জানায় গ্রুপটি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুড়ে যাওয়া বাড়ি-ঘরের দিকর ফিরে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা।
কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল জানান, আগুনের কারণে রোহিঙ্গাদের ঘর ছাড়াও স্থানীয়দের কিছু ঘর পুড়ে গেছে। এছাড়া শিবিরে থাকা দুটি হাসপাতালও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
গতকাল বিকেল চারটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং এরপর কয়েক ঘণ্টা ধরে এ আগুনে পুড়ে যায় রোহিঙ্গাদের শত শত ঘর। শুরুতে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তা না কমে বরং ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকায়।
খবর পেয়ে দমকলসহ নানা সংস্থার লোকজন ছুটে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে মধ্যরাত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত রাত একটা নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে বলা হয়। iqna