IQNA

যুক্তরাজ্যে প্রথম হিজাবী নারী জাহারা ভাট মুষ্টিযুদ্ধ প্রশিক্ষকের খেতাব লাভ করলেন

23:28 - November 29, 2018
সংবাদ: 2607385
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুষ্টিযুদ্ধ, ক্রীড়াঙ্গনে বর্তমানে নারীদের শক্ত অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহের মুসলিম নারী ক্রীড়াবিদরা মুষ্টিযুদ্ধে তাদের শক্ত অবস্থানের জানান দিচ্ছেন।

যুক্তরাজ্যে প্রথম হিজাবী নারী জাহারা ভাট মুষ্টিযুদ্ধ প্রশিক্ষকের খেতাব লাভ করলেনবার্তা সংস্থা ইকনা: উদাহরণ স্বরূপ আমব্রিন সাদিক হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম মহিলা মুষ্টিযোদ্ধা, যিনি মুষ্টিযুদ্ধে তার অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম হিজাবী নারী মুষ্টিযোদ্ধা গত দুবছর যাবত প্রচেষ্টা চালিয়ে মুষ্টিযুদ্ধের মূল ক্রীড়াঙ্গনে তার ভিত তৈরী করেছেন। আর অস্ট্রেলিয়ার বিনাকা ইলমির নামের নারী মুষ্টিযোদ্ধা যিনি ‘Australian Flyweight’ এবং ‘Oceania Boxing Bantamweight’ চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেছেন।

তবে যখন মুসলিম নারী মুষ্টিযুদ্ধের প্রশিক্ষকের কথা আসে তখন এ ক্ষেত্রে নারীদের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন হিজাবী মুসলিম নারী জাহারা ভাট যিনি নিজেকে একজন মুষ্টিযোদ্ধা প্রশিক্ষক করে গড়ে তুলেছেন। তিনি ‘Amateur Boxing Association’ এর অন্যতম নারী হিজাবী মুষ্টিযোদ্ধা প্রশিক্ষক।

জাহারা ভাট যুক্তরাজ্যের প্রথম হিজাবী নারী মুষ্টিযোদ্ধা প্রশিক্ষকের খ্যাতি লাভ করেছেন। তিনি আশা করেন যে, তাকে দেখে উৎসাহিত হয়ে এ পেশায় আরো অধিক নারী অংশগ্রহণ করবেন।

তিনি শুধুমাত্র মুষ্টিযুদ্ধ প্রশিক্ষণই দেন না বরং তার প্রশিক্ষণ ক্লাসে তিনি তার জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা ভাগাভাগি করে শিক্ষার্থীদের কে সচেতন করেতে চেষ্টা চালান।

তিনি মুষ্টি যুদ্ধের প্রশিক্ষক হিসেবে এই পেশা বেছে নিয়ে মানসিক প্রশান্তির কথা উল্লেখ করেন। যুক্তরাজ্যের নটিংহাম শহরের তিন সন্তানের জননী জাহরা মানসিক রোগ post-natal(সন্তান জন্ম দানের ফলে অনেক মা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন) ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেই মুষ্টিযুদ্ধ প্রশিক্ষণকে তার পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন বলেও জানান।

Post-Natal নামক মানসিক রোগ থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়ার পরে তিনি নতুন কিছু করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। এর পরেই জাহারা ভাটের ভাই তাকে মুষ্টিযুদ্ধ নামক ক্রীড়ায় অংশ নেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।

বর্তমানে জাহারা ভাট যিনি জন্মসূত্রে একজন পাকিস্তানি তিনি ‘This Girl Can’ নামক প্রচারণা সংস্থার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও পরিচিতি পেয়ছেন।

‘Nottingham Girls Can’ নামক একটি ওয়েব সাইটে তার মুষ্টিযুদ্ধে আসা এবং যুক্তরাজ্যের অন্যতম মুষ্টিযোদ্ধা প্রশিক্ষকের স্বীকৃতি লাভ পাওয়া সম্পর্কে ৩৯ বছর বয়সী জাহারা ভটা বলেন- ‘তিনি অন্য নারীদের কে দেখিয়ে দিতে চান যে, কিভাবে খেলা ধুলা নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে এবং এটি তাদের জীবন পরিবর্তন করে দিতে কতটা কার্যকরী।’ এবাউট হার ডট কম।

captcha