বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম জাফর সাদিক (আ.)বলেছেন: আল্লাহর শপথ! ইমাম মাহদী(আ.) ন্যায়বিচারকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিব যেমন ভাবে ঠাণ্ডা ও গরম মানুষের ঘরে প্রবেশ করে।
পূর্বেই বলা হয়েছে যে, সমাজের মানুষের সঠিক প্রশিক্ষণ, কোরআন ও আহলে বাইতের সংস্কৃতির প্রসারের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন রেওয়ায়তে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম মাহদী (আ.)-এর হুকুমতে চিন্তা, চরিত্র ও ঈমানের ব্যাপক বিকাশ ঘটবে।
ইমাম বাকের (আ.) বলেছেন: যখন আমাদের কায়েম কিয়াম করবেন নিজের হাতকে মানুষের মাথায় বুলিয়ে দিবেন এবং তার বরকতে তাদের জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেক ও চিন্তাশক্তি পরিপূর্ণতায় পৌঁছবে।
ভাল ও সৌন্দর্যসমূহ বিবেক পরিপূর্ণ হওয়ার মাধ্যমে অর্জিত হয়। কেননা, বিবেক হচ্ছে মানুষের অভ্যন্তরীণ নবী। তা যদি মানুষের শরীর ও জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে মানুষের কর্মও সঠিক পথে পরিচালিত হবে, আল্লাহর বান্দায় পরিণত হবে এবং সৌভাগ্যবান হবে।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর কাছে প্রশ্ন করা হল যে, বিবেক কি? তিনি বললেন: বিবেক হচ্ছে তা যার মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত হয় এবং তার (নির্দেশনার) মাধ্যমে বেহেশত অর্জিত হয়।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন: আমাদের কায়েম কিয়াম করলে প্রকৃত বন্ধুত্ব ও সঠিক আন্তরিকতা প্রতিষ্ঠিত হবে। তখন প্রয়োজনে একজন অন্য জনের পকেট থেকে প্রয়োজনীয় টাকা নিতে পারবে এবং সে তাতে কোন বাধা দিবে না।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন: আল্লাহ তাআলা তার কারণে আকাশে ও মাটিতে বরকতের বন্যা বইয়ে দিবেন। আকাশ থেকে রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হবে এবং মাটি থেকে ফসল উৎপন্ন হবে ।
বর্তমান সমাজে আমরা দেখতে পাই যে, কামনা-বাসনা বিবেকের উপরে স্থান পেয়েছে এবং নফসের তাড়না ব্যক্তি, দল ও গোত্রের উপর এককভাবে নেতৃত্ব দান করছে। যার ফলে মানুষের অধিকার পয়মাল হচ্ছে ও ঐশী মর্যাদাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু ইমাম মাহদী (আ.)-এর সমাজ আল্লাহর হুজ্জাতের নেতৃত্বে যিনি হচ্ছেন পরিপূর্ণ বিবেক। আর পরিপূর্ণ বিবেক কেবলমাত্র সৎকর্মের দিকেই আহবান করবে।