বার্তা সংস্থা ইকনা: দুই দেশেই দায়েশের সর্বশেষ ঘাঁটির পতনের পর তাদের কথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের মৃত্যু ঘটেছে। সামরিক ভিত্তি উপড়ে ফেলা সম্ভব হলেও এর মূল চালিকা শক্তি অর্থাৎ ভ্রান্ত চিন্তা ও বিশ্বাস এখনও ধ্বংস হয় নি। এ কারণে দায়েশের তৎপরতা পুরোপুরি থেমে যাবে-এমনটি দাবি করা যাবে না।
দায়েশ এখন নতুন আঙ্গিকে তৎপরতা শুরু করবে। এখন তারা শাসন প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন থেকে পুরোপুরি সরে এসে বিশৃঙ্খলা ও ভয় সৃষ্টি করার নীতি অনুসরণ করবে। তবে এখন তাদের আগের মতো জনশক্তি ও অর্থ না থাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতার গণ্ডি সীমিত থাকবে। মাঝে-মধ্যেই বোমা হামলার মতো নানা সন্ত্রাসী তৎপরতায় দায়েশের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে। এছাড়া সাধারণ মানুষের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার মতো অমানবিক তৎপরতা চালাবে।
চলতি বছর দায়েশ স্পেন ও আমেরিকায় এ ধরনের গাড়ি হামলা চালিয়েছে। দায়েশ নতুন নতুন শাখা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে যৌথভাবে হামলা চালাতে পারে তারা। দায়েশ ভবিষ্যতেও সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবে।
তবে আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষকরে লিবিয়া, সোমালিয়া ও নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলোতে তাদের তৎপরতা বাড়তে পারে। একইসঙ্গে পাশ্চাত্যের দেশগুলোতেও দায়েশের হামলা বেড়ে যেতে পারে। কারণ ইরাক ও সিরিয়ায় পরাজিত হওয়ার পর গোষ্ঠীটির ইউরোপীয় সদস্যরা স্বদেশে ফিরে যাবে এবং সুযোগ পেলেই নানাভাবে হামলা চালাবে।
ইউরোপে ফিরে গিয়ে পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করা এসব সন্ত্রাসীর পক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ এরইমধ্যে এসব সন্ত্রাসী, মানবতাবিরোধী অপরাধ করায় মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। খুব সহজেই তারা হিতাহিত জ্ঞান ফিরে পাবে না। কাজেই দায়েশের অপকর্মের খবরাখবর বিশ্ববাসীকে আরও কিছু দিন শুনতে হবে। পার্সটুডে