১৯৮৮ সালে নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয় এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯০ এর দিকে সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নেয়। ১৯৯৪ সালে যুদ্ধবিরতি হলেও দু দেশের মধ্যে মাঝেমাঝেই উত্তেজনা দেখা যায়।
নাগার্নো-কারাবাখ আজারবাইজানের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিকবভাবে স্বীকৃত কিন্তু স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্রের অধীনে নাগার্নো-কারাবাখ শাসিত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আঞ্চলিক শান্তি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াই এবং ইরাক ও সিরিয়ায় উগ্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতা করার ওপর জোর দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি সদ্য মুক্ত হওয়া সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে মানবিক ত্রাণ পাঠানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রেসিডেন্ট রুহানি তেহরান ও ইয়েরেভানের মধ্যে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ইরানের ভেতর দিয়ে তুর্কমেনিস্তানের গ্যাস আর্মেনিয়ায় পৌঁছানোর বিষয়ে দু দেশ একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে এবং তৃতীয় দেশ থেকে বিদ্যুত বিনিময়ের বিষয়েও দুপক্ষ একটি চুক্তি করেছে। এছাড়া, পারস্য উপসাগর এলাকা থেকে কৃষ্ণ সাগর পর্যন্ত দু দেশের মধ্যে রেলপথ, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে। এর পাশাপাশি ইরান ও আর্মেনিয়ার ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীরা সীমান্তের ‘আরাস ফ্রি জোন’ এলাকায় যাতে তাদের কর্মকাণ্ড বাড়াতে পারেন সে বিষয়েও দু দেশ একমত হয়েছে। এ সফরে আর্মেনিয়ার সঙ্গে ইরানের জ্বালানি, পরিবহন, টেলিযোগাযোগ এবং শিল্প কারখানার উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুৎখাতে যে চুক্তি হয়েছে দু দেশ তা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, পারস্য উপসাগর থেকে কৃষ্ণ সাগর পর্যন্ত যে রেলপথ যুক্ত হয়েছে তা ইরানের পণ্য ইউরোপের বাজারে পৌঁছাতে ভূমিকা রাখবে।
সংবাদ সম্মেলনের আগে দুই প্রেসিডেন্ট দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। পরে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে দুদেশের বিরোধিতার কথা এতে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আর্মেনিয়া সফরের সময় প্রেসিডেন্ট রুহানি দেশটির প্রেসিডেন্ট সের্জ সার্গসিয়ানকে ইরান সফরের আমন্ত্রণ জানান।