IQNA

ইরানকে সামরিক শক্তিতে আজকের অবস্থানে এনেছে পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধ

17:13 - September 22, 2019
সংবাদ: 2609273
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আজ ২২ সেপ্টেম্বর ইরানের ওপর ইরাকের সাবেক বাথ সরকারের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধ শুরুর বার্ষিকী। ৩৯ বছর আগে আজকের দিনে আমেরিকার সবুজ সংকেত এবং সৌদি আরব ও কুয়েতের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় ইরাকের সাবেক সাদ্দাম সরকারের আগ্রাসী বাহিনী ইরানের ওপর আগ্রাসন শুরু করে যার ফলে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। টানা আট বছরের ওই যুদ্ধে আগ্রাসী ইরাকি বাহিনীর লজ্জাজনক পরাজয় হয় এবং ইরান মর্যাদাপূর্ণ বিজয় লাভ করে।

পার্সটুডের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: লাখ লাখ মানুষের রক্তপাত ও নানারকম বিপর্যয় সত্ত্বেও ওই যুদ্ধে ইরান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার এক মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করে। চলতি বছর এমন সময় এই দিবস পালিত হচ্ছে যখন বিশ্বের বড় শক্তিগুলো মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করার যে চেষ্টা করছে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইরান।

এ সম্পর্কে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারদের উদ্দেশে এক ভাষণে বলেন: আট বছরের যুদ্ধে ইরানের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও ওই যুদ্ধের অর্জন ছিল ক্ষতির চেয়ে অনেক বেশি। ওই যুদ্ধ আমাদেরকে এই শিক্ষা দিয়েছে যে, নানা ধরনের বিপর্যয়, অর্থনৈতিক সংকট, বহিঃশক্তির চাপ ও হুমকি সত্ত্বেও বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সম্ভব।

সামরিক দিক দিয়ে ১৯৮০ সালের তুলনায় বর্তমান ইরানের শক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী যেকোনো শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ইরানের রয়েছে। ইরানের এই সক্ষমতা অর্জনের পেছনে ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি নিয়ামক ভূমিকা হিসেবে কাজ করছে।

এ সম্পর্কে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কমান্ডার-ইন-চিফ মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি গতকাল শনিবার বলেছেন, যে দেশই ইরানে আগ্রাসন চালাক না কেন আমরা তার পশ্চাদ্ধাবন করব এবং যুদ্ধকে ওই দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে যাবো। আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরআলী হাজিযাদে বলেছেন, ইরান এখন ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির দিক দিয়ে বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছে।

এ অবস্থায় যেকোনো শত্রু দেশ ইরানের সামরিক শক্তির কথা বিবেচনা করে এদেশে আগ্রাসন চালানোর আগে একশ’বার চিন্তা করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

অবশ্য ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান সব সময় ঘোষণা করে এসেছে, দেশটি কখনোই কোনো দেশের ওপর আগে আগ্রাসন চালাবে না এবং তেহরান কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতেও প্রস্তুত নয়। কিন্তু কোনো দেশ যদি ইরানের ওপর আগ্রাসন চালায় তাহলে তার কঠোর ও অনুশোচনা সৃষ্টিকারী জবাব দেবে তেহরান।  iqna

captcha