বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: কারগিলের জেলা প্রশাসনের পক্ষ জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনো স্থানে চারজন বা তার বেশিসংখ্যক মানুষের জমায়েত হলেই, শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়া হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। ওই তিন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে ভারতের সরকার। তারমধ্যে একটি জম্মু ও কাশ্মীর এবং অপরটি হচ্ছে লাদাখ।
সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুসারে, কাশ্মীরের নিজস্ব সংবিধান থাকবে। এ ছাড়া সামরিক, যোগাযোগ এবং পররাষ্ট্রনীতি ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে রাজ্য সরকারের অনুমোদন লাগবে। অনুচ্ছেদগুলো বাতিলের ফলে কাশ্মীরের জনগণ তাদের রক্ষাকবচ হারিয়ে ফেলে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় কাশ্মীরিরা যাতে বিক্ষোভ করতে না পারে সেজন্য গোটা কাশ্মীর উপত্যকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কাশ্মিরে বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোপ চলছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে এ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।