IQNA

মাশহাদে লক্ষাধিক জিয়ারতকারীর উপস্থিতিতে সর্বোচ্চ নেতা;

নতুন বছর ইরানী জনগণের জন্য সুযোগ-সুবিধার বছরে পরিণিত হবে

18:54 - March 21, 2019
সংবাদ: 2608171
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যথারীতি ইরানের পবিত্র নগরী মাশহাদের ইমাম রেজা (আ.) কমপ্লেক্স থেকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী লক্ষাধিক জিয়ারতকারীর সামনে সৌরবর্ষ ১৩৯৮ সালের সূচনা তথা নওরোজ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা ইকনা: সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ইরানের পবিত্র নগরী মাশহাদে ইমমা রেজা (আ.)এর পবিত্র মাযারে লক্ষাধিক জিয়ারতকারীর সামনে বলেন: কিছু বক্তা ও লেখকগণ ১৩৯৮ সালকে “হুমকিসমূহের বছর বলে অবিহিত করেছে। অথচ আমি মোটেও এধরণের মন্তব্যকে গ্রহণ করি না। আমি বিশ্বাস করি মহান আল্লাহর কৃপায় ১৩৯৮ সাল ইরানী জনগণের জন্য “সুযোগসমূহের বছর” এবং সুযোগ-সুবিধার বছরে পরিণিত হবে।

নওরোজ উপলক্ষে গতকাল মাশহাদে ইমাম রেজা (আ) এর মাজারে হাজার হাজার জিয়ারতকারী ও জনতার সমাবেশে দেয়া ভাষণে সর্বোচ্চ নেতা এ কথা বলেন।

সর্বোচ্চ নেতা তাঁর ভাষণে বলেছেন, ইরানের ওপর শত্রুদের চাপিয়ে দেওয়া অর্থনৈতিক যুদ্ধে আমরা অবশ্যই জয়ী হবো। তবে অর্থনৈতিক যুদ্ধে সাফল্যের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করার পাশাপাশি তিনি অর্থব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

নতুন ফার্সি বছরের ব্যাপারে সর্বোচ্চ নেতা বলেন: এই বছর হবে সুযোগ-সুবিধার বছর। নতুন ফার্সি বছরে সকল সমস্যার সমাধান হবে বলেও তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন,পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে ইউরোপ পেছন থেকে ছুরি মেরেছে।

পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে ইউরোপের দায়িত্ব ও কর্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার আকাশ-পাতাল ফারাক রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইউরোপীয়রা এই সমঝোতার ব্যাপারে পেছন থেকে ছুরি মেরেছে।

তিনি বলেন, ছয় জাতিগোষ্ঠির সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকা এককভাবে বেরিয়ে যাবার পর কথা ছিল ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবেলা করবে এবং চুক্তি অনুযায়ী আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে, অথচ ইউরোপ কার্যত কিছুই করে নি। তারা চুক্তিতে অটল থাকার পরামর্শ দিচ্ছে কিন্তু বাস্তবে নিজেরা চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে।

সর্বোচ্চ নেতা ইউরোপের সঙ্গে বিশেষ আর্থিক ব্যবস্থা ‘ইনসটেক্স'কে খুবই তিক্ত একটি মশকরা বলে মন্তব্য করে বলেন, এর কোনো মানেই হয় না।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, পশ্চিমাদের সাহায্যের আশা বাদ দেওয়াই অর্থনৈতিক সুরক্ষার একমাত্র উপায়।

ইতিহাস এবং প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সাক্ষ্য দিচ্ছে যে,পশ্চিমাদের কাছে বিশ্বাসঘাতকতা, ষড়যন্ত্র কিংবা পিঠে ছুরি মারা ছাড়া অন্য কোনো সাহায্য আশা করা বৃথা।তাদের কাছে সততা আশাই করা যায় না।

শত্রুরা ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তির কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। এই শক্তি তাদের চাপানো নিষেধাজ্ঞা আর অবরোধের মধ্যেই অর্জিত হয়েছে বলে সর্বোচ্চ নেতা মন্তব্য করেন।একইভাবে অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞাকে সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক সমস্যাও কেটে ওঠা সম্ভব বলেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

পশ্চিমা নেতাদের সম্পর্কে তিনি বলেন, তাদের বাহ্যিক দিকটা ফিটফাট, সুগন্ধি লাগানো কিন্তু ভেতরটা পাশবিক।

সৌদি সরকারকে এ অঞ্চলের সর্বনিকৃষ্ট স্বৈরাচার,জালেম বলে উল্লেখ করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন,পশ্চিমারা তাদের জন্য পরমাণু সুবিধাসহ ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র তৈরিতে সহযোগিতা দিচ্ছে। কেননা সৌদিআরব তাদের মিত্রশক্তি। সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, আমরা তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা পরমাণু কেন্দ্র স্থাপনে অসন্তুষ্ট নই। কারণ অদূর ভবিষ্যতে এসব স্থাপনা আল্লাহর রহমতে ইসলামি মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে যাবে। iqna

 

 

captcha