IQNA

আমার মুসলিম হওয়ার বিষয়টি সবার কাছে ছিল একটি নাটকের মতো

9:48 - November 11, 2018
সংবাদ: 2607190
সুসান কারল্যান্ড তার ইসলাম গ্রহণের কথা নিজের পরিবার এবং বন্ধুদের জানাতে ‘পুরোপুরি আতঙ্কগ্রস্ত’ ছিলেন। তিনি জানান, তার ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার খবরটি পরিবারের সদস্যরা এবং বন্ধুরা বুঝতে পারেন যখন তিনি হিজাব পরার সিদ্ধান্ত নেন।

বার্তা সংস্থা ইকনা: চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে এবিসি’র হোম ডেলিভারিকে দেয়া নতুন এক সাক্ষাৎকারে সুসান কারল্যান্ড এসব কথাবলেন।

তিনি বলেন, আমি মানুষকে এ তথ্যটি জানাতে একেবারেই আতঙ্কগ্রস্ত ছিলাম। আমি আরো বেশি আতঙ্কগ্রস্ত ছিলাম আমার পরিবারকে জানাতে, বিশেষ করে আমার মা আর বন্ধুদের।

কারল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের একটি খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ধর্ম সবসময় তার জীবনে উপস্থিত ছিল।

কারল্যান্ড ‘দ্যপ্রজেক্ট’ এর সহ আয়োজক ওয়ালিদ আলি স্ত্রীর। কারল্যান্ড ১৯ বছর বয়সে ইসলামে ধর্মান্তরিত হন। ইসলামকে ভাল লাগার সেই কাহিনী তিনি সাক্ষাৎকারে বর্ণনা করছিলেন।

বর্তমানের ৩৮ বছর বয়সী এই নারী জানান, তিনি তার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মানুষ জানাতে চিন্তিত ছিলেন কারণ তিনি জানতেন না তারা কিভাবে এর প্রতিক্রিয়া দেখাবে।

তিনি বলেন, আমার ধারণা ছিল তাদের প্রতিক্রিয়া হবে নেতিবাচক এবং অধিকাংশ মানুষ সেটিই করে থাকে।

কিন্তু তিনি খুব শিগগিরই হিজাব পরার সিদ্ধান্ত কারণ তিনি মানুষের মুখোমুখি হতে চেয়েছেন।

কারল্যান্ড বলেন, আমি মনে করি, আমি যদি শুধু বলতাম, আমি মুসলমান হতে যাচ্ছি কিন্তু তা গ্রহণ করা মানুষের জন্য অনেক বেশি অনেক সহজ হতো।

তিনি হোস্ট জুলিয়া জেমিরোকে বলেন, আমি যদি এটা বিশ্বাস না করতাম তাহলে হয়ত আমার জীবন অনেক সহজ হতো কিন্তু বাস্তব হচ্ছে আমি এটা বিশ্বাস করি।

ইসলামের এই কঠিন ক্রান্তিকালীন সময়ে তিনি তার নিজেকে মানিয়ে নিতে ‘ব্যালে ক্লাসে’ (নাচের অনুষ্ঠান) ফিরবেন বলে জানান্। তিনি সাত বছর বয়স থেকে তিনি নাচের অনুষ্ঠান করতেন।

তিনি বলেন, আমার মুসলিম হওয়ার বিষয়টি পরিবারের কিছু সদস্য ও বন্ধুদের কাছে ছিল একটি নাটকের মতো। আমি (ব্যালে ক্লাসে) অংশ নেই এবং সবকিছু আগের মতো ঠিক হয়ে যায়।

এছাড়াও, কারল্যান্ড স্পষ্ট করে জানান যে, তিনি তার স্বামী আলির সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার আগেই ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন

তিনি বলেন, আমি মনে করি একজন নারীর মুসলিম হওয়ার বিষয়টি মানুষ সহজে বিশ্বাস করতে পারছে না। বিশেষত শিক্ষিত নারীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরো প্রকট।

সাক্ষাত্কারে তিনি নারীদের ওপর নিয়মানুগ নিপীড়ন নিয়েও কথা বলেন এবং নারীকে তার প্রাপ্ত স্বীকৃতি দেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, আপনি যদি স্বীকার করেন যে, নারীর রাজনৈতিক, গঠনগত, সামাজিক, ধর্মীয় অধিকারের বিরুদ্ধে নিয়মানুগ নিপীড়ন হচ্ছে এবং আপনি যদি এটার পরিবর্তনে কাজ করতে চান, তখন আপনি নিজেকে একজন নারীবাদী বলেন অথবা নাই বলেন তাতে আমি পরোয়া করি না।

captcha