IQNA

এক রোহিঙ্গা পরিবারকে ফেরত নেয়া ধোঁকাবাজি: মালয়েশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা

21:35 - April 18, 2018
সংবাদ: 2605547
মালয়েশিয়ার দু'টি মানবাধিকার সংস্থা মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। 'হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন' ও 'রোহিঙ্গা পার্লামেন্ট' এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, মিয়ানমার সরকার মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি রোহিঙ্গা পরিবারকে ফিরিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নো মেনস ল্যান্ড থেকে ওই পরিবারকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

 
বার্তা সংস্থা ইকনা: মিয়ানমারের লোকদেখানো এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে ওই উভয় সংস্থাই বলেছে, জাতিসংঘকে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে রোহিঙ্গা মুসলমানেরা নতুন কোনো সংকটে না পড়ে। গণহত্যার হোতাদেরকে শাস্তি থেকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

পাঁচ সদস্যের যে পরিবারকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে, সেই পরিবারের অভিভাবকের নাম হচ্ছে আকতার আলম। বাংলাদেশের নাইক্ষ্যাংছড়ির তমব্রু সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া দেশহারা নির্যাতিত রোহিঙ্গারা তাকে মিয়ানমারের পুলিশের লোক বলে মনে করেন। তাদের দাবি, এ কারণেই তাকে নো ম্যানস ল্যান্ড থেকে দেশে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এবং দেশটির মংডু শহরের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সেই ব্যক্তির ভালো যোগাযোগ রয়েছে বলে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জানিয়েছেন। শরণার্থী রোহিঙ্গাদের মতে, আকতার আলম মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে সীমান্ত এলাকার খবর সরবরাহ করতেন। গত বছরের আগস্টে তমব্রু সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে এই ব্যক্তিও আশ্রয় নেন।

গত ১৪ এপ্রিল মিয়ানমার সরকারের এক বার্তায় বলা হয়েছে, তারা একটি শরণার্থী পরিবারকে প্রথম ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এই পদক্ষেপ লোকদেখানো ও ধোঁকাবাজি বলে অভিহিত করেছে।

captcha