IQNA

তাফসীরে আল মিযানের দৃষ্টিতে ইমাম মাহদীর প্রতীক্ষাকারীদের দায়িত্ব

20:05 - November 24, 2017
সংবাদ: 2604394
সূরা বাকারার ১২৪তম আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন-যখন ইব্রাহীমকে তাঁর পালনকর্তা কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর তিনি তা পূর্ণ করে দিলেন, তখন পালনকর্তা বললেন, আমি তোমাকে মানবজাতির নেতা করব। তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আপনি আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও (ইমাম) নিযুক্ত করুন। তিনি বললেন, আমার অঙ্গীকার অত্যাচারীদের পর্যন্ত পৌঁছাবে না।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমামত ও নেতৃত্ব খোদার দেয়া একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান, এটি দুনিয়াবি কোন পদমর্যাদা নয়। সুতরাং ইসলামী সমাজের ওপর যে কেউ শাসন চালাতে পারে না এবং যেকারো নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার নেই৷

রাসূলের দায়িত্ব হলো- আল্লাহর বাণী ও বিধি-বিধান পৌঁছে দেয়া এবং জনগণকে ভালো কাজের সুসংবাদ ও মন্দ কাজের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া। অপরপক্ষে ইমামের দায়িত্ব হলো সমাজে ওই বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

সূরা বাকারাহ'র এ আয়াতে স্পষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছে যে, ইমামত আল্লাহর অঙ্গীকার ও আমানত, যা জালিম, অন্যায়কারী ও গুনাহগার ব্যক্তিরা পাবে না। এ আয়াত থেকে বুঝা যায়, যারা জীবনে গুণাহ করেছে তারা ইমামতের দায়িত্ব পেতে পারে না।

সূরা বাকারার ২১০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- هَلْ يَنْظُرُونَ إِلَّا أَنْ يَأْتِيَهُمُ اللَّهُ فِي ظُلَلٍ مِنَ الْغَمَامِ وَالْمَلَائِكَةُ وَقُضِيَ الْأَمْرُ وَإِلَى اللَّهِ تُرْجَعُ الْأُمُورُ

তারা কি এজন্যেই অপেক্ষা করছে যে, এতসব সুস্পষ্ট নিদর্শন থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ মেঘের ছায়ায় ফেরেশতাসহ তাদের কাছে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে নতুন প্রমাণ ও নিদর্শন দেখাবেন? অথচ আল্লাহ পথ-প্রদর্শনের কাজ সম্পন্ন করেছেন। আর সব কিছু আল্লাহরই কাছে ফিরে যাবে।

সূরা আম্বিয়ার ৭৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-  وَجَعَلْنَاهُمْ أَئِمَّةً يَهْدُونَ بِأَمْرِنَا

 আমি তাঁদেরকে নেতা করলাম। তাঁরা আমার নির্দেশ অনুসারে পথ প্রদর্শন করতেন।
captcha