IQNA

পোপের এশিয়া সফরে ধর্মান্তর নিয়ে ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের বিতর্ক

19:33 - November 24, 2017
সংবাদ: 2604393
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পোপ ফ্রান্সিসের ঐতিহাসিক এশিয়া সফরের প্রাক্কালে ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা খ্রিস্টান মিশনারিগুলোর হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করার বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। পোপ ভারতের বদলে মায়ানমার সফর করছেন।

বার্তা সংস্থা ইকনা: বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এবং কট্টরপন্থী হিন্দু গ্রুপ বজরং দলের মতো সংগঠনগুলো খ্রিস্টান মিশনারি কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করছে। তারা চার্চের ধর্মান্তর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন। ১৯৯৯ সালের নভেম্বরে পোপ দ্বিতীয় জন পলের নয়াদিল্লি সফরেরও বিরোধিতা করেছিল এসব সংগঠন।

আসাম রাজ্যের বরজং দলের কর্মী অঙ্গদ প্রাসাদ বলেন, অন্য ধর্মের লোকজনকে ধর্মান্তর করার কী যৌক্তিকতা থাকতে পারে, তা পোপ ফ্রান্সিসকে ব্যাখ্যা করতে হবে।

ভিএইচপি সূত্রগুলো ইউসিএনিউজকে জানিয়েছে, তারা পোপের জন্য কয়েকটি প্রশ্ন তৈরি রেখেছে। এর মধ্যে ধর্মান্তর ইস্যুটিও রয়েছে।

ভারতের চার্চ নেতৃবৃন্দ আশা করেছিল, পোপ ভারতও সফর করবেন। তারা সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু গত জুন নাগাদ পরিষ্কার হয়ে যায়, নয়াদিল্লি পোপকে আমন্ত্রণ জানাবে না। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রটোকল অনুযায়ী, কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে সফরের জন্য সরকারি আমন্ত্রণের প্রয়োজন পড়ে।

পোপের সফরসূচি থেকে ভারত কেন বাদ পড়ল, সে ব্যাপারে ভারত সরকার কিংবা ভ্যাটিকান- কেউ কিছু জানায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মোদীর হিন্দুপন্থী সরকার প্রয়োজনীয় আমন্ত্রণ জানায়নি।

পোপ ফ্রান্সিস এক বছর আগে জানিয়েছিলেন, তিনি ‘প্রায় নিশ্চিত’ যে ২০১৭ সালে তিনি বাংলাদেশ ও ভারত সফর করবেন। কিন্তু গত আগস্টে ভ্যাটিকান হঠাৎ করে সবাইকে চমকে দিয়ে জানায়, পোপ ২৭ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করবেন।

ভিএইচপি’র আন্তর্জাতিক সভাপতি প্রবীন টোগাড়িয়া বলেন, পোপ ইতোমধ্যেই এসে গেছেন, না-কি আসবেন, তা আমি নিশ্চিত নই। আমরা এ নিয়ে আগ্রহীও নই।

তিনি বলেন, তিনি কেন আসছেন না তা আমি জানি না। তা-ই আমি বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।

সাম্প্রতিক সময়ে মোদী বেশ কিছু কূটনৈতিক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। ম্যানিলায় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। দেশে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথেও তিনি বৈঠক করেছেন।

ডিসেম্বরে গুজরাট রাজ্যের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এটি মোদীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন।

পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, মোদী এবং বিজেপি নভেম্বরে পোপের সফর এড়াতে চেয়েছে। কারণ এতে গুজরাটে দলের নির্বাচনের সম্ভাবনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।  আরটিএনএন
captcha