বার্তা সংস্থা ইকনা: তেহরানে অনুষ্ঠিত "আহলে বাইতের অনুরাগী ও তাকফিরি সমস্যা" শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি আজ একথা বলেন। ইরাক এবং সিরিয়ায় দায়েশ সন্ত্রাসীদের চূড়ান্ত পতন হলেও শত্রুদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে উদাসীন থাকা যাবে না। আমেরিকা এবং ইহুদিবাদসহ তাদের অনুসারীরা ইসলামের সঙ্গে শত্রুতার হাত গুটিয়ে রাখবে না। তারা দায়েশ কিংবা তার মতো অন্য কোনো গোষ্ঠিকে ভিন্ন কোনো অঞ্চলে ব্যবহার করতে পারে বলে সর্বোচ্চ নেতা মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্ব এখন আধিপত্যবাদ ও কুফুরি শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সক্ষম। ইসলামি শরিয়তের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নকারী ইরান ইসলামের শত্রুদের উপর বিজয় অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে থাকবে।
ইসলামি সরকারের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং আমেরিকা চল্লিশ বছর ধরে বিচিত্র ষড়যন্ত্র ও চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে। এতোসব চাপ সত্ত্বেও আমরা অকুণ্ঠভাবে বলতে চাই পৃথিবীর যে প্রান্তেই সাম্রাজ্যবাদ ও কাফেরদের মোকাবেলার প্রয়োজন পড়বে, ইরান সেখানেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে এবং এ ব্যাপারে কারও তোয়াক্কা করা হবে না।
ফিলিস্তিন সংকটকে মুসলিম বিশ্বের প্রধান সমস্যা বলেও সর্বোচ্চ নেতা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইসলামের শত্রুদের পরাজিত করার চাবিকাঠি হলো ফিলিস্তিন সমস্যা। কেননা কুফুরি,সাম্রাজ্যবাদী এবং ইহুদিবাদী ফ্রন্ট ইসলামি ফিলিস্তিন ভূখণ্ড জবরদখল করে এখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর শান্তি ও নিরাপত্তা নষ্ট করার ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। এই ইসরাইল নামক ক্যান্সারের মোকাবেলা করতে হবে বলে সর্বোচ্চ নেতা মন্তব্য করেন।
মুসলমানদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির পেছনে শত্রুদের প্রধান লক্ষ্য হলো ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ফিলিস্তিন যেদিন ফিলিস্তিনী জনগণের কাছে ফিরে আসবে সেদিন সত্যিকার অর্থে সাম্রাজ্যবাদীদের কোমর ভেঙ্গে যাবে। আমরা সেই দিনটির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবো বলে সর্বোচ্চ নেতা উল্লেখ করেন।
iqna